বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ গাইড
ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) উচ্চশিক্ষা: আবেদন প্রক্রিয়া, ভিসার
খরচ ও স্কলারশিপ সুবিধা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ গাইড
কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই জানে না যে কীভাবে আবেদন করতে হয়,
ভিসা কীভাবে পেতে হয়, বা খরচ কত হতে পারে। এই ব্লগে আমরা
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো, কীভাবে আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য
যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন, কেমন খরচ হতে পারে এবং
স্কলারশিপের সুযোগ সম্পর্কে।
কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই জানে না যে কীভাবে আবেদন করতে হয়,
ভিসা কীভাবে পেতে হয়, বা খরচ কত হতে পারে। এই ব্লগে আমরা
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো, কীভাবে আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য
যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন, কেমন খরচ হতে পারে এবং
স্কলারশিপের সুযোগ সম্পর্কে।
কেন যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য
একটি সেরা পছন্দ?
যুক্তরাজ্য শিক্ষার জন্য বিশ্বের অন্যতম সেরা গন্তব্য।
এখানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং
ছাত্রদের জন্য উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করে। পাশাপাশি,
দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ বাংলাদেশি
শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। যুক্তরাজ্যে
পড়াশোনার সুবিধাসমূহ:
বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়: যুক্তরাজ্যের
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র্যাংকিংয়ে
শীর্ষস্থানীয়। এখানে পড়াশোনা করলে ডিগ্রির
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়।
১ বছরের মাস্টার্স কোর্স: ইউকেতে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সাধারনত ১ বছরে শেষ করা যায়,
যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম সময়ের মধ্যে সমাপ্ত
হয়।
পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ: পড়াশোনার পাশাপাশি
আপনি যুক্তরাজ্যে পার্ট-টাইম কাজ করতে পারবেন, যা
শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সাহায্যকারী।
গ্র্যাজুয়েট ভিসা: পড়াশোনা শেষ করার পর ২
বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ দেয় ইউকে
(যুক্তরাজ্য), যা আপনার ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য
করবে।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটেনে(ইউকে) উচ্চশিক্ষার
যোগ্যতা
এইচএসসি (HSC) শেষ করা শিক্ষার্থীদের জন্য-
ইউকে-তে ফাউন্ডেশন বা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট (Undergraduate)
কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা
পূরণ করতে হবে। নিচে প্রয়োজনীয় যোগ্যতাগুলো তালিকা দেওয়া
হলো:
জিপিএ(GPA): এসএসসি(SSC) এবং এইচএসসি(HSC) তে
ভালো ফলাফল থাকতে হবে।
আইইএলটিএস(IELTS): সাধারণত ৬.০ থেকে ৬.৫ স্কোর
লাগে (বিশ্ববিদ্যালয় অনুসারে ভিন্ন হতে পারে)।
ফাউন্ডেশন কোর্স: অনেক বিশ্ববিদ্যালয়
এইচএসসি(HSC) পরবর্তী ফাউন্ডেশন কোর্স অফার করে, যা
পরে স্নাতক(Bachelor) কোর্সে প্রগ্রেস করার সুযোগ দেয়।
স্নাতক(Bachelor) শেষ করে ইউকে(UK)-তে
স্নাতকোত্তর(Master) করতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের
জন্য-
বাংলাদেশ থেকে স্নাতক শেষ করে ইউকে-তে স্নাতকোত্তর করতে
হলে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রয়োজনীয়
যোগ্যতা:
ব্যাচেলর (Bachelor) ডিগ্রি:
ইউকে(যুক্তরাজ্যের) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করার
জন্য প্রয়োজন হবে আপনার ব্যাচেলর ডিগ্রি।
আইইএলটিএস(IELTS): সাধারনত ৬.৫ স্কোর দরকার,
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭.০ স্কোরের চাইতে পারে।
অভিজ্ঞতা: কিছু ক্ষেত্রে প্রফেশনাল কাজের
অভিজ্ঞতা এবং সঠিক সোপ লেটার SOP (Statement of
Purpose) গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্যের (ইউকে) শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাজ্য বিশ্বের অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা গন্তব্য,
যেখানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে গ্লোবাল
র্যাংকিংয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়
শুধু একাডেমিক মানের জন্য নয়, বরং গবেষণা, আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি, স্কলারশিপ সুবিধা এবং গ্র্যাজুয়েট
এমপ্লয়াবিলিটির জন্যও পরিচিত। নিচে আন্তর্জাতিকভাবে
স্বীকৃত যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা
সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
বিজনেস, ইকোনমিক্স ও ম্যানেজমেন্ট
সাবজেক্টে খুবই জনপ্রিয় এবং র্যাংকিংয়ে
ধারাবাহিকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
ইউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রক্রিয়া
ইউকের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদনের নির্দিষ্ট সময় ও কিছু
নিয়ম মেনে করতে হয়। নিচে ইউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের
ধাপগুলো দেওয়া হলো:
ধাপ ১: কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
প্রথমে নিজের আগ্রহ, বাজেট এবং ক্যারিয়ার লক্ষ্য অনুযায়ী
একটি কোর্স নির্বাচন করতে হবে। ইউকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
হাজার হাজার কোর্স অফার করে থাকে, সুতরাং আপনার জন্য
উপযুক্ত কোর্স বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধাপ ২: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা
ইউকেতে আবেদন করার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে
হবে, যেমন-
একাডেমিক সার্টিফিকেট (SSC, HSC, Bachelor)
আইইএলটিএস(IELTS Certificate)
Statement of Purpose (SOP)
প্রফেসর বা কর্মস্থল থেকে(Reference Letters)
বৈধ পাসপোর্ট(Passport)
ধাপ ৩: UCAS বা Direct Application
আন্ডার গ্রেজুয়েট (Undergraduate Course): UCAS
(Universities and Colleges Admissions Service) এর
মাধ্যমে আবেদন করা হয় যায়।
পোষ্ট গ্রেজুয়েট(Postgraduate Course):
বেশিরভাগ পোষ্ট গ্রেজুয়েট কোর্সের জন্য সরাসরি
বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে
হয়।
ধাপ ৪: অফার লেটার(Offer Letter) এবং CAS
(Confirmation of Acceptance for Studies)
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার (Offer Letter) পাওয়ার পর
CAS (Confirmation of Acceptance for Studies) সংগ্রহ করতে
হবে, যা ইউকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ডকুমেন্ট।
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট শর্ত (২০২৬
আপডেট)
ইউকেতে পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে কিছু
নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। এই শর্তগুলো পূরণ করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভিসা না পাওয়ার কারণে আপনি
আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন না।
CAS (Confirmation of Acceptance for Studies)
আইইএলটিএস সার্টিফিকেট (IELTS Certificate)
অর্থনৈতিক আবস্থার প্রমাণ (Financial Proof) (ব্যাংক
স্টেটমেন্ট, যাতে আপনার টিউশন ফি ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়
খরচ কভার করার মতো টাকা থাকে)
টিবি টেস্ট সার্টিফিকেট(TB Test Certificate)
পাসপোর্ট
লন্ডনে পড়াশোনার মোট খরচ (২০২৬ আপডেট)
লন্ডনে পড়াশোনা খরচের একটি ধারণ দেওয়া হলো। টিউশন ফি
(গড়ে)
আন্ডারগ্রেজুয়েট: £১০,০০০ থেকে £১৫,০০০ প্রতি বছর
পোস্টগ্রেজুয়েট: £১১,০০০ থেকে £১৮,০০০ প্রতি বছর
খরচ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্স অনুসারে ভিন্ন হতে
পারে।
খরচের ধরন
আনুমানিক খরচ (Euro)
আনুমানিক খরচ (BDT)
টিউশন ফি (গড়ে)
£12,000
৳১৬–১৭ লক্ষ
স্টুডেন্ট ভিসা ফি
£490
৳৬৫,০০০+
IHS (১ বছর)
£776
৳১,০০,০০০+
IELTS
৳২৮,৪৫০
টিবি টেস্ট + অন্যান্য খরচ
৳৩০,০০০+
নোট: খরচ কিছু দিন পর পর পরিবর্তন হয়। আপডেটেড খরচ
জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউকে সরকার ও
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। কিছু উল্লেখযোগ্য
স্কলারশিপ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
ইউকে সরকারি স্কলারশিপ (UK Government
Scholarships)
চেভেনিং স্কলারশিপ(Chevening Scholarship) বাংলাদেশের
শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই স্কলারশিপটি
সম্পূর্ণ ফান্ডেড এবং স্নাতকোত্তর(Master) কোর্সের
জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিক স্কলারশিপ (University-Based
Scholarships)
অনেক ইউকে বিশ্ববিদ্যালয় মেধা ভিত্তিতে বা
প্রয়োজনীতার ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রদান করে। এগুলি
সাধারনত টিউশন ফি কভার করতে সাহায্য করে।
Partial Tuition Fee Waiver
কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীদের জন্য
Partial Tuition Fee Waiver অফার করে।
ইউকে-তে পড়াশোনা শেষ করার পর Graduate Route বা Post Study
Work Visa এর মাধ্যমে আপনি ২ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন,
যা আপনার ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।
এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনি যদি অভিজ্ঞতা অর্জন
করেন, তবে চাকরির বাজারে আপনাকে সুযোগ পেতে সুবিধা
হবে।
কেন সানজেন কে বেছে নেবেন যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার
জন্য?
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা একটি মূল্যবান সুযোগ, তবে এটি
সঠিকভাবে পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে অর্জন করতে হয়।
সানজেন(Sangen) বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা এবং বিদেশি
প্রক্রিয়ায় একটি বিশ্বাসযোগ্য নাম। আমরা আপনাকে ফ্রি
কাউন্সেলিং প্রদান করি এবং যুক্তরাজ্যে আপনার আবেদন
প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করি। আমাদের
সেবাসমূহ:
আমাদের অভিজ্ঞ টিম ভিসা
প্রসেসিংয়ের পুরো দায়িত্ব
নেয়। প্রয়োজনে ভিসা ইন্টারভিউয়ের আগে প্রশিক্ষণও
প্রদান করা হয়।
প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ এবং ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার
প্রতিটি ধাপে আমরা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করি।
স্টুডেন্ট
প্রোফাইল বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে আপনার
স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি
ধাপে আমাদের এক্সপার্ট টিম পাশে থাকে।
একাডেমিক ফলাফল যোগ্যতা অনুযায়ী হলে স্কলারশিপ
ব্যবস্থাপনাতেও আমরা সহায়তা করি।
আমরা কখনো মিথ্যা আশ্বাস দিই না। যা করতে পারি,
শুধু সেটাই স্পষ্টভাবে বলি।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস(IELTS) ছাড়াও
বিভিন্ন পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, তবে অধিকাংশ
বিশ্ববিদ্যালয় IELTS বা সমতুল্য পরীক্ষার
ফলাফল চায়।
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসার প্রাপ্তির জন্য আপনাকে
আপনার কোর্স ফি এবং দৈন্দিন খরচের জন্য যথেষ্ট
অর্থ ব্যাংকে দেখাতে হবে। সাধারণত £১,০২৫
প্রতি মাসের জীবনযাত্রার খরচ দেখাতে হয় (লন্ডন
ছাড়া)।
হ্যাঁ, ইউকে-তে পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০
ঘণ্টা পার্ট-টাইম কাজ করা যায়, এবং পাবলিক
হলিডে কিংবা ছুটির দিনে কাজের সময় বেড়ে যায়।
সাধারণত ইউকে-তে স্নাতকোত্তর (Master) কোর্স ১
বছরে সম্পন্ন হয়।
ইউকে (UK)-এ Post Study Work Visa বা Graduate
Route Visa ২ বছরের জন্য প্রদান করা হয়, এবং
এটি সম্পূর্ণ সময়ের জন্য কাজ করার সুযোগ দেয়।
হ্যাঁ, ভিসা রিজেক্ট হলে আপনি আবার আবেদন করতে
পারেন, তবে আপনাকে পূর্বের ভুলগুলো ঠিক করে
আবেদন পুনরায় করতে হবে।
চেভেনিং(Chevening) স্কলারশিপে কোনো নির্দিষ্ট
GPA লাগলেও, ভালো একাডেমিক রেজাল্ট, নেতৃত্বের
গুণাবলী এবং ব্যক্তিগত আগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ।
লন্ডনের জীবনযাত্রার খরচ বেশি, প্রায় £১,২৬৫
প্রতি মাস, যেখানে লন্ডনের বাহিরে খরচ প্রতি
মাসে £১,০২৫।
হ্যাঁ, সানজেন আপনাকে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার
জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া, আবেদন, ভিসা এবং
স্কলারশিপ সুবিধার বিষয়ে সহায়তা করে।